ইউ এস ভেরিফাইড
পেপাল একাউন্ট
ক্রয় করতে চাচ্ছেন?
আমাদের থেকে ইউএস ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট কেনার পূর্বে পেপাল সম্পর্কে আমাদের নীতিমালাগুলো আপনার ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন।
তাহলে চলুন পেপাল সম্পর্কে খুঁটিনাটি ভালোভাবে জেনে নেই।
পেপালে কি কি সমস্যা হয়?
পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন
পেপাল একাউন্টে লগিন করতে গেলে অনেক সময় ⚠️ Login Error বা ⚠️Incorrect Login Details এর সমস্যা দেখা দেয়।
কারণঃ যে ব্রাউজারে লগিন করার জন্য ট্রাই করছেন এটায় ইতিপূর্বে পেপাল একাউন্ট লগিন করা হয়েছিলো অথবা আপনি যে আইপি দিয়ে ট্রাই করছেন এটা সঠিকভাবে কাজ করছে না। তাই আপনি লগিন ইরর সমস্যায় পড়েছেন।
সমাধানঃ পেপাল লগিনের পূর্বে ব্রাউডার ডাটা ক্লিয়ার করে নিতে হবে এবং অবশ্যই ডেডিকেটেড আইপি ব্যবহার করতে হবে।
পেপাল একাউন্ট লগিন করার পর অথবা ইউজিং এর সময় হঠাৎ করেই একাউন্ট টেম্পোরারি ব্লক, ডিজেবল অথবা লিমিট ইস্যু দেখা যায়। যার ফলে একাউন্ট থেকে কোন প্রকার এক্টিভিটি করা যায় না। এটা একজন পেপাল ইউজারের জন্য সত্যিই ভুগান্তিকর।
কারনঃ একটা একাউন্ট লগিন করা থেকে শুরু করে ইউজিং এর সময় আপনার যেকোন কার্যকলাপ যদি পেপালের কাছে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলেই তারা আপনার একাউন্টটি হঠাৎ করেই টেম্পোরারি ব্লক, ডিজেবল অথবা পারমানেন্টলি লিমিট করে দেয়। এটার কারন হচ্ছে, পেপাল অ্আপনাকে একাউন্ট টি বিভিন্নভাবে ভেরিফাই করতে বলবে যেন আপনি প্রমান করতে পারেন এটা আপনার একাউন্ট।
সমাধানঃ আপনার পেপাল একাউন্টে যদি এই ধরনের কোন ইস্যু আসে তাহলে খেয়াল করতে হবে পেপাল আপনার কাছে কি চাচ্ছেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভেরিফাই করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট চাওয়া হয়ে থাকে। পেপালের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ভেলিড ডকুমেন্ট সাবমিট করে ভেরিফািই সাকসেস করতে পারলে আপনার একাউন্ট টি পূনরায় সচল হয়ে যাবে।
মেক্সিমাম একাউন্টেই ব্যালেন্স সেন্ডিং বা রিসিভিং ইস্যু দেখা যায়। অনেকসময় একাধিকবার ট্রাই করার ফলে একাউন্ট লকড বা ডিজেবল হয়ে যায়।
কারনঃ একটি একাউন্ট যদি এক আইপি থেকে অন্য আইপিতে লগিন করা হয় এবং ইমিডিয়েট সেন্ডিং বা রিসিভিং এর ট্রাই করা হয় তাহলে এমন ইস্যু আসতে পারে। অনেকসময় রিজিওন মিসম্যাচিং এর জন্যও এমনটা দেখা যায়।
সমাধানঃ এই ধরনের সমস্যা ৩ থেকে ৭ দিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে কোন প্রকার আন ইউজ্যুয়াল কার্যকলাপ যেনো পেপাল খুজে না পায়। তাহলে একাউন্ট পারমানেন্টলি লিমিট হতে পারে।
অনেকসময় লগিনের সময় বা ট্রাঞ্জেকশনের সময় হঠাৎ করেই মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে বলে। এটা খুব কম সংখ্যক একাউন্টেই দেখা যায়।
কারনঃ যে ব্রাউজারে লগিন করার জন্য ট্রাই করছেন এটায় ইতিপূর্বে পেপাল একাউন্ট লগিন করা হয়েছিলো অথবা আপনি যে আইপি দিয়ে ট্রাই করছেন এটা সঠিকভাবে কাজ করছে না। যার ফলে পেপাল আপনাকে যাচাই করার জন্যই মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করতে চাচ্ছেন।
সমাধানঃ পেপাল লগিনের পূর্বে ব্রাউডার ডাটা ক্লিয়ার করে নিতে হবে এবং অবশ্যই ডেডিকেটেড আইপি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে নাম্বার ভেরিফিকেশন ইস্যু ৯০% কমে যাবে।
অনেকেই একাউন্ট সম্পুর্নভাবে ভেরিফাই না করেই সেই একাউন্ট ইউজ করে অথবা সেল করে। ফলে নতুন ডিভাইসে লগিন হবার সাথে সাথেই একাউন্ট ভেরিফাই এর জন্য ইস্যু দেখা যায়।
কারনঃ একটা ননভেরিফাইড একাউন্ট পেপাল কখনোই ব্যবহার করতে দেয় না। তাই প্রতিটা পেপাল একাউন্ট ১০০% ভেরিফাই করে নিতে হয়।
সমাধানঃ পেপাল একাউন্ট ক্রয় করার পর অবশ্যই একাউন্টের সবকিছু ভেরিফাই আছে কিনা চেক করে নিতে হবে। এই ব্যাপারে ক্রয়ের পূর্বেই নিশ্চিত হয়ে নেওয়াটাই ভালো।
আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি সমূহ!
নতুন একটা ডিভাইসে লগিন করেই সাথে সাথেই অথবা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করলে আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন।
সমাধানঃ একটি নতুন ডিভাইসে একাউন্ট লগিন করার পর ৩ থেকে ৭ দিন পর একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করাই ভালো। একাউন্ট টি আপনার ডিভাইসের সাথে ম্যাচিং হয়ে গেলে কিছুদিন পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
আপনার একাউন্ট টি যে সকল প্রাইমারী ডিটেইলস দিয়ে ক্রিয়েট করা হয়েছে সেগুলো (ইমেইল, ইউজার নেইম, মোবাইল নাম্বার, এড্রেস ইত্যাদি) পরিবর্তন করলে আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন।
সমাধানঃ একটি নতুন ডিভাইসে একাউন্ট লগিন করার পর ৩ থেকে ৭ দিন পর একাউন্টের পরিবর্তনযোগ্য তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু যেসকল তথ্য পরিবর্তন করলে ভেরিফিকেশন চ্যালেঞ্জ এ পরতে হবে সেগুলো চেঞ্জ না করাই উচিত।
আমরা আপনাকে একাউন্টের কোন তথ্য পরিবর্তন করতে নিরুৎসাহিত করবো।
একটি একাউন্ট যদি ইউএস এর কোন আইপি থেকে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়ে থাকে এবং সেটা আপনি নেবার পর যদি অন্য কোন দেশের আইপি থেকে লগিন করেন তাহলে আপনি আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন।
একাউন্ট ব্যবহারের সময় হঠাৎ করেই যদি আপনার ডিভাইসের আইপি চেঞ্জ হয়ে যায় তাহলে আপনি সমস্যায় পরতে পারেন।
সমাধানঃ একটি নতুন ডিভাইসে একাউন্ট লগিন করার সময় অবশ্যই ভালো মানের ডেডিকেটেড আইপি কানেক্ট করে তারপর লগিন করতে হবে। এমন কোন আইপি ইউজ করা যাবেনা যেটা কিছুক্ষন পর পর সার্ভার পরিবর্তন করে।
পেপাল লগিনের জন্য যে ব্রাউজার বা ডিভাইস ইউজ করবেন সেটায় পূর্বে পেপাল লগিন করা হয়েছিলো এমন তথ্য পেপাল খুজে পেলে আপনি আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন।
সমাধানঃ একটি নতুন ডিভাইসে বা ব্রাউজারে একাউন্ট লগিন করার পূর্বে ব্রাউজার এর ডাটা এবং ক্যাচে ক্লিয়ার করে নিতে হবে। মোবাইল এপস এ ইউজ করলে এপস এর ডাটা ক্লিয়ার করে নিতে হবে। এছাড়াও আপনার ডিভাইসে কোন হিস্টোরি থেকে থাকলে সেগুলো ভালোভাবে ক্লিয়ার করে নিতে হবে।
নতুন ডিভাইসে লগিন করেই হঠাৎ আপনি বড় এমাউন্ট ট্রাঞ্জেকশন করলে আপনি আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন।
সমাধানঃ একটি নতুন ডিভাইসে বা ব্রাউজারে একাউন্ট লগিন করার পর প্রথমদিকেই কোন প্রকার বড় ধরনের লেনদেন করা যাবে না। ৩ থেকে ৭ দিন পর ৫, ১০, ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০ এমনভাবে ক্রমানুযায়ী ছোট ছোট লেনদেন দিয়ে ট্রাঞ্জেশন শুরু করতে হবে। একসময় আপনি অনেক এমাউন্ট লেনদেন করতে পারবেন।
নতুন ডিভাইসে লগিন করেই আপনি একজন নতুন ইউজার হিসেবে কিছুক্ষন পর পর একাউন্টে কোন কারণ ছাড়াই লগিন করছেন। এটাও একটি আনইউজ্যুয়াল এক্টিভিটি।
সমাধানঃ একটি একাউন্টে বারবার লগিন না করাই ভালো। তাই ইমারজেন্সি কোন কারণ ছাড়া একাউন্টে লগিন করবেন না।